Wednesday, 17 October 2012
ভাষার খোঁজে নেপালে
আমাদের দেশের মানুষ তো এখন খুব বেড়াতে
যায়। আগেকার দিনের মানুষের বেড়ানো কিন্তু এখনকার দিনের মানুষের মতো ছিলো
না। আগেকার দিনে মানুষ নানা উপলক্ষে গ্রাম থেকে শহরে যেতো। শহরে গিয়ে নানা
কিছু দেখে আনন্দ পেতো। আবার বেশ লম্বা ছুটিতে শহরের মানুষও গ্রামে গিয়ে বেশ
ক’দিন খুব মজা করে ঘুরে আসতো। এখন সেই ধারাটিই বদলে গেছে। এখন আর শহরের
মানুষ গ্রামে গিয়ে খুব একটা ছুটি কাটায় না। যাদের মোটামুটি সঙ্গতি আছে তারা
বাংলাদেশের নানা জায়গায় ছুটি কাটাতে চলে যায়। প্রতিবছরই নানা ছুটিতে
কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা অথবা সিলেটের নানা জায়গায় কত্তো ভীড় হয়! আবার
যাদের আরেকটু বেশি সঙ্গতি আছে, তারা আমাদের এশিয়া মহাদেশেরই নানা দেশে যায়;
কেউ ভারতে যায়; তবে ভারতে এখন কমই যায়; এখন বেশি যায় সিঙ্গাপুর,
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়। যাদের আরো বেশি সঙ্গতি আছে তারা ইউরোপ, উত্তর
আমেরিকার নানান দেশে বেড়াতে যায়। এখনকার দিনের একটা অদ্ভূত দিক কী, আমাদের
আশেপাশের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ, তারচেয়ে আমাদের দূরের দেশগুলোর
সঙ্গে যোগাযোগ বেশি ভালো। যেমন ধরেন, আমরা যদি নেপালে যেতে চাই, তাতে যে
খরচ হবে, তার চেয়ে অনেক কম খরচে মালয়েশিয়া কিংবা ব্যাংকক যাওয়া যায়। সেই
সাথে ওসব দেশে যাওয়া আসা করাটাও অনেক সহজ। আবার ধরেন পড়াশুনার জন্যও তো
আমরা বিদেশে যাই; মানে জ্ঞানচর্চার জন্য আরকি। সেটাতেও দেখা যায়, ইউরোপ এবং
উত্তর আমেরিকার দিকেই আমাদের ঝোঁকটা বেশি। সবাই আমেরিকা, কানাডা,
ইংল্যান্ড, নরওয়ে এসব দেশে যেতে পারলেই খুশি। যার ফলে কি হচ্ছে জানেন?
আমাদের আশেপাশের দেশগুলোর সাথে আমাদের যোগাযোগটা হারিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য
চিকিৎসা প্রয়োজনে এখনো আমরা সবার আগে ভারতেই যাই। কিন্তু ওটা তো ব্যতিক্রম।
মোদ্দা
কথা হলো, আমাদের ভ্রমণের ব্যাপারটা আমাদের আশেপাশের দেশগুলোর থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা এখন আর আমাদের আশেপাশের দেশগুলোতে ঘুরতে যাই না।
যেমন আমাদের খুব কাছের একটা দেশ মায়ানমার; কিন্তু ওদের সাথে আবার আমাদের
রাজনৈতিক সম্পর্কটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। যাবে কী করে, ওদের প্রাণের
নেত্রী অং-সান সু চি’কে যে ওদের সামরিক শাসকরা একদম গৃহবন্দী করে রেখেছে!
এমন পঁচা যে শাসক, তাদের সাথে তো আর আমাদের দেশের নেতা নেত্রীরা গলায় গলায়
ভাব রাখতে পারেন না। আর তাই মায়ানমারেও আমাদের দেশের খুব কম লোকই ঘুরতে
যায়। আবার আমাদের আশেপাশে ভারতের যে রাজ্যগুলি আছে, যেমন ত্রিপুরা, মেঘালয়,
আসাম, এগুলোর মধ্যে এক ত্রিপুরা ছাড়া বাকি জায়গাগুলোতেও কিন্তু খুব একটা
যাওয়া হয় না। তুলনায় আমাদের দেশের মানুষ ঢের বেশি যায় ওদেশের কোলকাতা,
বোম্বে, মাদ্রাজ, দিল্লি, পাঞ্জাবে। তবে আমার বরাবরই মনে হয়, আমরা যদি
আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতিকে বুঝতে যাই, আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতির উপকরণ নিয়ে
চিন্তা ভাবনা করতে যাই, তাহলে আমাদেরকে আমাদের নিজেদের দেশ, আর আমাদের
চারপাশের দেশগুলোকে ভালো করে চিনতে হবে; যেই অঞ্চলে আমাদের পূর্বপুরুষরা
বাস করতো, সেই অঞ্চলকে চিনতে হবে। আমাদের পূর্বপুরুষরা কোন কোন অঞ্চলে
ছড়িয়ে ছিলো জানেন? নিশ্চয়ই বলবেন, কেন, বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গ! ঐ তো ভুল
করলে। বইয়ে পড়েন না, বাঙালি মিশ্র জাতি। বিদেশ থেকে কতো কতো জাতির লোকজন
এসে আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে মিশে গেছে, তবেই না আমরা বাঙালি হয়েছি।
কিন্তু তার আগে যারা এই অঞ্চলে বাস করতো, তারাই না আমাদের প্রকৃত
পূর্বপুরুষ, তাই না? সে কিন্তু অনেক আগের কথা, তখনো মহানবী (সঃ) এর জন্মই
হয়নি! মানে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, তাঁরা মুসলমান ছিলেন না। আমাদের মধ্যে
যারা মুসলমান, তাদের পূর্বপুরুষরা মুসলমান হয়েছেন তুরস্কের লোকেরা, মানে
তুর্কিরা বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করার পর। মাথা চুলকোতে লেগে গেলেন নাকি?
আরে, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী’র নাম শোনেননি? যেমন ইয়া
লম্বা নাম, তেমন ইয়া লম্বা দেহ, তেমনি ইয়া লম্বা হাত। তিনিই তো প্রথম
মুসলমান, যিনি বাংলার ক্ষমতা দখল করেন। আর তারপরেই না এখানকার মানুষ আস্তে
আস্তে মুসলমান হতে শুরু করলো। তার আগে এদেশের মানুষ ছিলো সনাতন ধর্মালম্বী
(হিন্দু)। আর তারও আগে ছিলেন বৌদ্ধ। পাল রাজাদের নাম শোনেননি? ঐ যে গোপাল,
ধর্মপাল? আরে, আস্ক দ্য কিডজ ভাইয়াতে আপনারা সম্রাট অশোকের কলিঙ্গের
যুদ্ধের গল্প শুনেছেন না? সেই সম্রাট অশোকও তো ছিলেন পাল বংশের রাজা! এই
পাল রাজারা ছিলেন বৌদ্ধ। আর তাদের পরে যে সেন রাজারা রাজত্ব করলেন, তারা
ছিলেন হিন্দু।
তো,
আমাদের সেই বৌদ্ধ পূর্বপুরুষরা ছড়িয়ে ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশ আর
পশ্চিমবঙ্গেরও বেশি অঞ্চলে। তারা উত্তরে হিমালয় পর্বতের পাদদেশেও ছিলেন;
মানে এখনকার নেপাল, ভূটান, তারপর ভারতের আসাম, মেঘালয়, সিকিম, ত্রিপুরা
রাজ্যেও ছিলেন। হলো কি, সেন রাজারা যখন রাজত্ব শুরু করলেন, তখন রাজা যেহেতু
হিন্দু, কাজে কাজেই প্রজাদের মধ্যে যারা হিন্দু, তারা একটু বেশি সুবিধা
পেতে লাগলেন। আর বৌদ্ধ পণ্ডিত আর সম্ভ্রান্ত বংশের লোকেদের আর আগের মতো কদর
রইলো না। উল্টো সেন রাজারা তাদের উপর কিছুটা রুষ্টই ছিলেন; সেন রাজারা তো
আর এদেশের মানুষ ছিলেন না, তাদের হয়তো মনে হতো, এরা তো অন্য ধর্মের লোক,
মানে আমাদের শত্রুও হতে পারে। সব মিলিয়ে সেই বৌদ্ধ পণ্ডিত আর সম্ভ্রান্ত
লোকেরা এখনকার বাংলায় না থেকে উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে, নেপালে, ভূটানে,
তারপর ভারতের আসামে, মেঘালয়ে, সিকিমে গিয়ে বসতি গাড়লেন। আবার একই ঘটনা ঘটলো
মুসলমানরা এদেশের ক্ষমতা দখল করে নিলে। এবার হিন্দু পণ্ডিত আর সম্ভ্রান্ত
লোকেরা চলে গেলেন, বসতি গাড়লেন ঐ নেপাল, ভূটান, ভারতের আসাম, ত্রিপুরা,
এরকরম নানা জায়গায়। তার মানে কি দাঁড়ালো? আমাদের আসল সংস্কৃতি যদি আমাদের
জানতেই হয়, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে চিনতেই হয়, আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতির
উপকরণকে যদি খুঁজে পেতেই হয়, তাহলে আমাদের আশেপাশের এই অঞ্চলগুলো ঘুরে ঘুরে
চেনা ছাড়া, মানে ভ্রমণ করা ছাড়া কোনো গতি নেই! এদের সাথে যে আমাদের
সাংস্কৃতিক বন্ধনের একটা সূত্র আছে, একটা আত্মার বন্ধন আছে!
এসব
কারণে তো আমার নেপালে যাওয়ার একটা ঝোঁক বরাবরই ছিলো। আরো কয়েকটা কারণ
ছিলো। প্রথমত, বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরোনো যে উপকরণ চর্যাপদ ৫১টা কবিতার
একটি সংকলন, সেই কবিতাগুলি নেপালে পাওয়া গিয়েছে। এই চর্যাপদ কতোদিনের
পুরোনো জানেন? প্রায় ১ হাজার কি তারচেয়েও বেশি দিনের পুরোনো। এ নিয়ে অবশ্য
পণ্ডিতরা একমত হতে পারেননি, তবে সবাই মেনে নিয়েছেন যে এটা মোটামুটি ৮০০
থেকে ১২০০ সালের মধ্যে লেখা। আগেকার বই কখনো দেখেছেন? সেগুলো কিন্তু এখনকার
বইগুলোর মতো বাঁধানো ছিলো ন। বাঁধাই করবে কি করে, গুটেনবার্গ তো ছাপাখানাই
আবিষ্কারই করলেন এই ক’দিন আগে! সেগুলো ছিলো হাতে লেখা পুঁথি। আর সেই
পুঁথিগুলোর কিছু মজাও ছিলো। যেমন ধরেন, পুঁথিগুলো তো হাতে লিখতো, তাই
এগুলোতে লেখা হতো একটানা, দুই শব্দের মাঝখানে কোনো ফাঁকা থাকতো না। মজার
এখানেই শেষ না, পুঁথির লাইন কোন দিক থেকে শুরু হবে তারও কোনো বাঁধাধরা
নিয়মও ছিলো না। পুঁথি লেখকের, মানে পুঁথিকারের যদি ভালো লাগে তাহলে সবগুলো
লাইন বাম দিক থেকে শুরু করতো, কিংবা এক লাইন বাম দিক থেকে শুরু করে ডান
দিকে শেষ করে আবার তার পরের লাইন ডান দিক থেকে বাম দিকে, এভাবেও অনেকে
লিখতো! তো এই হাজার বছরের পুরোনো চর্যাপদের পুঁথিটি নেপাল থেকে আবিষ্কার
করে আমাদের এখানে নিয়ে আসেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নামের এক পণ্ডিত। সে এক
বিশাল গল্প, সে না হয় আরেকদিন বলবো।
এ তো গেলো একটা কারণ। আরেকটা কারণ কি জানো, আমার বরাবরই মনে হতো, চর্যার মতোন আরো অনেক সাহিত্য উপকরণ হয়তো নেপাল এবং তার আশেপাশে পাওয়া যেতে পারে। আর আগে যারা ওখানে এগুলির সন্ধান করেছেন, তারা সেগুলি কিছু কিছু পেয়েছেনও বটে। আমার আবার এসব ব্যাপারে বেশ আগ্রহ। তো সবকিছু মিলিয়ে ঠিক করলাম, নেপালে যাওয়াই সই।
কিন্তু নেপালে যাওয়ার সমস্যাটা হচ্ছে, সেখানে যদি স্থলপথে যেতে হয়, তাহলে কোলকাতা, অথবা দিল্লি আগ্রা যাওয়ার পথ যতোটা ভালো, নেপালের যাওয়ার পথটা অতো ভালো না। এ তো গেলো একটা সমস্যা। আরেকটা বড়ো সমস্যা হচ্ছে, নেপালে যেতে হলে ভারতের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সুতরাং যাওয়ার সময় একবার আর আসার সময় একবার, মোট দু’বার ভারতীয় ভূখণ্ড অতিক্রম করতে হবে। আর দু’বারই ভিসা পাসপোর্ট ইত্যাদির একটা জটিলতা থাকে। তবে যদি আকাশপথে যাওয়া যায়, মানে প্লেনে যাওয়া যায়, তাহলে এখনো আগে ভিসা না নিয়ে নেপালে গিয়ে পরে ভিসা করিয়ে নিলেও হয়।
তো ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আমি নেপাল গেলাম। আগেই তো বলেছি, নেপালে যাওয়ার জন্য স্থলপথটা খুব একটা ভালো নয়, যেতে আসতে ভারত পেরুতে হয়, তাতে আবার ভিসা পাসপোর্টের ঝামেলা; সেই তুলনায় আকাশপথ বেশ ভালো। তাতে আবার পরে ভিসা করার একটা সুবিধাও আছে। সুতরাং, আমি প্লেনে করেই নেপাল গেলাম।
আমার
নেপাল যাওয়ার যে অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো সে তো আগেই বলেছি। সত্যি বলতে কি,
আমার ওখানে যাওয়ার কয়েকটি উদ্দেশ্য ছিলো। একটা হচ্ছে ৮-১০ দিন ওখানে থেকে
দেশটাকে দেখা, দেশটাকে চেনা, দেশটাকে জানা। আরেকটা হচ্ছে আমাদের সাহিত্যের
সভ্যতার পুরোনো উপকরণগুলো এখনো ওখানে আছে কিনা, বা আর নতুন কোনো উপকরণ
খুঁজে পাওয়া যায় কিনা, এগুলো দেখা।
তো ডিসেম্বর মাস আবার নেপালে খুবই ঠাণ্ডার সময়। হিমালয়ের বরফাবৃত অঞ্চল ওখান থেকে খুবই কাছে কিনা। ডিসেম্বরের ঠাণ্ডাতে নেপালের লোকজনই খুব কষ্ট পায়, আর আমার তো একদম জমে যাওয়ার অবস্থা! ইউরোপেও এরকমের ঠাণ্ডা আছে, কিন্তু ইউরোপে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচারও অনেক উপায় আছে। ওখানে ঘরে ঘরে উষ্ণতার ব্যবস্থা মানে হিটিং সিস্টেম আছে, রাস্তা ঘাটে চলাফেরার জন্য উপযুক্ত কাপড় চোপড় আছে। নেপালেও এগুলো আছে, কিন্তু অতোটা ভালো না।
নেপালে গিয়ে আমি ওই দেশের রাজধানী কাঠমুণ্ডুর থামেল বলে একটা জায়গায় উঠলাম, সেখানকার একটা হোটেলে। এই থামেলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই এলাকাটা হচ্ছে পর্যটকদের এলাকা। প্রতি বছর হিমালয় দেখতে সারা পৃথিবী থেকে প্রচুর পর্যটক আসে নেপালে। এই পর্যটকদের বেশির ভাগই আসে শীতের দেশ থেকে, আর ওসব দেশে ডিসেম্বরে ক্রিসমাসের একটা লম্বা ছুটি থাকে, সুতরাং তারা এ সময়টাতেই আসে বেশি। ফলে এই সময়ে থামেলে প্রচুর ভীড় থাকে, অনেকটা আমাদের দেশের ঈদের সময়ের গাউসিয়ার মতো, কিংবা গুলিস্তানের মতো, কিংবা ছুটি হলে সবাই যখন বাড়ি যায় তখনকার সদরঘাটের মতো, প্রচণ্ড ভীড়। আর আমাদের দেশের মতোই সেখানেও কিন্তু ফুটপাথে বিক্রেতারা বসে। ঐ আমাদের হকারদের মতো আরকি! আর এত্তো মানুষ, পুরো রাস্তায় মানুষ গিজগিজ করতে থাকে, পুরো রাস্তা দিয়েই মানুষ হাঁটে। আর এই থামেলের একটা অদ্ভূত বিষয় হল, এখানে আবার গাড়ি খুবই কম। আর যাও বা দু-একটা গাড়ি আসে, সেগুলো মানুষের পিছেপিছেই যায়, খুব বেশি হর্ন দিয়ে মানুষকে বিরক্তও করে না।
যেহেতু মানুষ অনেক বেশি থাকে, কাজেই এ সময় থামেলে থাকার জায়গারও খুব সমস্যা হয়। ছোটো বড়ো হোটেল তো বটেই, যে সব মানুষেরা বাসায় কয়েক দিন থাকার জন্য রুম ভাড়া দেয়, সেগুলোতেও জায়গা পাওয়া যায় না, এত্তো ভীড় হয়। তবে থাকার কষ্ট হলেও খাওয়ার কোনো সমস্যাই হয় না। ওখানে মোটামুটি সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায় ভারতীয় বা ইন্ডিয়ান খাবার, তোমাদের প্রিয় ইউরোপিয়ান ফাস্ট ফুড, তারপর নেপালি খাবার, চাইনিজ খাবার, তিব্বতি খাবার, পূর্ব ভারতীয় খাবার, সবই পাওয়া যায়। আবার পকেটের কথা চিন্তা করলে সস্তা খাবার, অল্প দামি খাবার, দামি খাবার, সবই আছে। মোদ্দা কথা যেটা, থামেলে থাকাটা বেশ ব্যয়বহুল, কিন্তু খাওয়া দাওয়া যেমন সস্তা আর তেমনি বৈচিত্র্যপূর্ণও বটে।
তো ডিসেম্বর মাস আবার নেপালে খুবই ঠাণ্ডার সময়। হিমালয়ের বরফাবৃত অঞ্চল ওখান থেকে খুবই কাছে কিনা। ডিসেম্বরের ঠাণ্ডাতে নেপালের লোকজনই খুব কষ্ট পায়, আর আমার তো একদম জমে যাওয়ার অবস্থা! ইউরোপেও এরকমের ঠাণ্ডা আছে, কিন্তু ইউরোপে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচারও অনেক উপায় আছে। ওখানে ঘরে ঘরে উষ্ণতার ব্যবস্থা মানে হিটিং সিস্টেম আছে, রাস্তা ঘাটে চলাফেরার জন্য উপযুক্ত কাপড় চোপড় আছে। নেপালেও এগুলো আছে, কিন্তু অতোটা ভালো না।
নেপালে গিয়ে আমি ওই দেশের রাজধানী কাঠমুণ্ডুর থামেল বলে একটা জায়গায় উঠলাম, সেখানকার একটা হোটেলে। এই থামেলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই এলাকাটা হচ্ছে পর্যটকদের এলাকা। প্রতি বছর হিমালয় দেখতে সারা পৃথিবী থেকে প্রচুর পর্যটক আসে নেপালে। এই পর্যটকদের বেশির ভাগই আসে শীতের দেশ থেকে, আর ওসব দেশে ডিসেম্বরে ক্রিসমাসের একটা লম্বা ছুটি থাকে, সুতরাং তারা এ সময়টাতেই আসে বেশি। ফলে এই সময়ে থামেলে প্রচুর ভীড় থাকে, অনেকটা আমাদের দেশের ঈদের সময়ের গাউসিয়ার মতো, কিংবা গুলিস্তানের মতো, কিংবা ছুটি হলে সবাই যখন বাড়ি যায় তখনকার সদরঘাটের মতো, প্রচণ্ড ভীড়। আর আমাদের দেশের মতোই সেখানেও কিন্তু ফুটপাথে বিক্রেতারা বসে। ঐ আমাদের হকারদের মতো আরকি! আর এত্তো মানুষ, পুরো রাস্তায় মানুষ গিজগিজ করতে থাকে, পুরো রাস্তা দিয়েই মানুষ হাঁটে। আর এই থামেলের একটা অদ্ভূত বিষয় হল, এখানে আবার গাড়ি খুবই কম। আর যাও বা দু-একটা গাড়ি আসে, সেগুলো মানুষের পিছেপিছেই যায়, খুব বেশি হর্ন দিয়ে মানুষকে বিরক্তও করে না।
যেহেতু মানুষ অনেক বেশি থাকে, কাজেই এ সময় থামেলে থাকার জায়গারও খুব সমস্যা হয়। ছোটো বড়ো হোটেল তো বটেই, যে সব মানুষেরা বাসায় কয়েক দিন থাকার জন্য রুম ভাড়া দেয়, সেগুলোতেও জায়গা পাওয়া যায় না, এত্তো ভীড় হয়। তবে থাকার কষ্ট হলেও খাওয়ার কোনো সমস্যাই হয় না। ওখানে মোটামুটি সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায় ভারতীয় বা ইন্ডিয়ান খাবার, তোমাদের প্রিয় ইউরোপিয়ান ফাস্ট ফুড, তারপর নেপালি খাবার, চাইনিজ খাবার, তিব্বতি খাবার, পূর্ব ভারতীয় খাবার, সবই পাওয়া যায়। আবার পকেটের কথা চিন্তা করলে সস্তা খাবার, অল্প দামি খাবার, দামি খাবার, সবই আছে। মোদ্দা কথা যেটা, থামেলে থাকাটা বেশ ব্যয়বহুল, কিন্তু খাওয়া দাওয়া যেমন সস্তা আর তেমনি বৈচিত্র্যপূর্ণও বটে।

থামেলের আরেকটা জিনিস আমি খেয়াল করেছি, ওখানে দোকান গুলোর মধ্যে জামা কাপড়ের দোকান, আর আর যতো দোকান বাজারে দেখা যায়, এসবের চেয়ে চিত্রকলা বা ছবির দোকান, তারপর ছোটো ছোটো ভাস্কর্যের দোকান এগুলোই বেশি। ওখানে সবচেয়ে বেশি আছে বোধহয় ছবির দোকান। তারপর ছোটো ছোটো ভাস্কর্যের দোকানও অনেক আছে। আর কতোরকমের যে ভাস্কর্য পাওয়া যায়! লোহার ভাস্কর্যের দোকান, পিতলের ভাস্কর্যের দোকান, পাথরের ভাস্কর্যের দোকান, তারপর বাঁশের ভাস্কর্যের দোকান, এগুলো প্রচুর আছে। মানে, ওখানকার ব্যবসা বাণিজ্যের একটা বড় উপাদানই হল শিল্পকলা। এটা কিন্তু খুবই ভালো। তোমার বাসার পাশে যদি এরকম বেশ কয়েকটা দোকান থাকতো, বেশ মজা হতো না? আর সবচেয়ে বড়ো কথা, এমনি কয়েকটা দোকান থাকলে যেটা হতো, না কিনলেও তুমি অন্তত প্রতিদিন ওগুলো দেখতে পারতে। ফলে তোমার অজান্তেই তোমার ভেতরে ছবি আর ভাস্কর্যের ব্যাপারে বেশ একটা টনটনে ধারণা হয়ে যেতো।
তারপর ওখানে আরো মজার মজার ব্যাপার আছে। হিমালয়ের এক দুর্গম অঞ্চলে গিয়ে দেখি কী, একটা মন্দির! দেবী দূর্গাকে চেনেন না? সেই দেবী দূর্গার মন্দির। তারপর কাঠমুণ্ড শহরের একটা বিখ্যাত মন্দির হচ্ছে রক্তকালী মন্দির। যদি কখনো নেপালে যাওয়া হয়, তবে এই মন্দির কিন্তু দেখতে ভুলবেন না।
আচ্ছা, অনেক তো নেপালের গল্প হলো। আবার চলেন চর্যাপদের কথায় ফিরে আসা যাক। চর্যাপদ বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন হলেও সেটার ভাষা কিন্তু আমাদের এখনকার বাংলা ভাষার মতো না। তখন আমাদের বাংলা ভাষাটা কেবল জন্ম নিচ্ছে কি নিয়েছে। ছোট্ট শিশু যেমন বড়ো না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যায় না, ও আসলে কি রকম হবে, খাটো হবে না লম্বা হবে, হাত পা গুলো কেমন হবে, তারপর স্বভাব কেমন হবে, কথা মিষ্টি হবে না পচা হবে, ভাষার ব্যাপারটাও ঠিক তেমনি। ভাষাও মানুষের মতোই অনবরত বদলে যেতে থাকে। শিশুকালে ভাষা অনেকটাই অস্থির থাকে। বয়স যতো বাড়তে থাকে, ভাষা ততোই সুস্থির হতে থাকে, তাকে ততো সহজে চেনা যায়। তবে মানুষের মতো ভাষা একদিন বুড়িয়ে মরে যায় না। যতোদিন সে বদলাতে পারে, মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, ততোদিনই ভাষা বেঁচে থাকে। আর তাই তো, রাশভারী সংস্কৃত ভাষা মানুষের মুখের ভাষার সাথে তাল মিলাতে না পেরে কবেই পটল তুলেছে, ওই ভাষায় আর কেউ কথাও বলে না, গল্পও লেখে না। আর আমাদের মিষ্টি বাংলা ভাষা মানুষের জীবন ও আচার ব্যবহারের পরিবর্তনের সাথে সাথে একটু একটু করে বদলে গিয়ে দিব্যি বেঁচে তো আছেই, তাতে কতো কতো ভালো ভালো গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটকও লেখা হচ্ছে।
তো যা বলছিলাম, চর্যাপদের ভাষাটা ঠিক আমাদের পরিচিত বাংলা ভাষা নয়। হঠাৎ শুনলে সেই ভাষাটা কেমন যেনো অচিন অচিন মনে হয়। একটা চর্যা শোনালে ব্যাপারটা ভালো বুঝতে পারবেন। একটা চর্যায় আছে, ‘কাআ তরুবর পঞ্চবি ডালঅ।’
খুব অদ্ভূত লাগছে না চরণটা? কিন্তু একটু খেয়াল করলে বোঝা যাবে, চরণটার মানে হচ্ছে, ‘কায়া বা শরীর হচ্ছে তরু বা গাছের ন্যায়, এর পাঁচটা ডাল আছে’। এই ভাষাকে আমরা বাঙালিরা বলছি বাংলা ভাষায় রচিত। আবার আসামিরা দাবি করছে এটা আসামি ভাষায় রচিত, উড়িয়ারা বলে উড়িয়া ভাষায়, মৈথিলিরা বলে মৈথিলি ভাষায়, ভোজপুরিয়ারা বলে তাদের ভোজপুরিয়া ভাষায়, নেওয়ারিরা বলে তাদের ভাষায় (নেওয়ারি ভাষা) রচিত। এমনকি হিন্দি ভাষাভাষীরাও বলে, এটা তাদের ভাষায় রচিত। আসলে হয়েছে কি, চর্যা যখন লেখা হচ্ছিল, তখন এই সবগুলি ভাষা অনেকটা একই রকম ছিলো। এই সবগুলি ভাষাই একই ভাষা বংশের সদস্য তো, তাই এদের মধ্যে অনেক মিল আছে। হিন্দি ভাষার সাথে যে আমাদের ভাষার অনেক মিল আছে, সে তো আপনারা সবাই খেয়াল করেছো। মজার ব্যাপার কি জানেন? এই সবগুলো ভাষার মধ্যে বাংলার সাথে হিন্দিরই মিল সবচেয়ে কম। তাহলেই বোঝেন, অন্য ভাষাগুলোর সাথে আমাদের মিষ্টি মধুর বাংলা ভাষার কত্তো মিল! আর তখন তো এই সবগুলো ভাষাই শিশুকালে। ফলে যেটা হলো, সবগুলো ভাষার সঙ্গেই চর্যার ভাষার মিল পাওয়া যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, চর্যাপদ যদি আমাদেরই হয়, তাহলে আমাদের দেশের এই পুঁথিটা নেপালে গেলো কি করে? ঐ যে আগেই বলেছিলাম, আমাদের দেশে যখন হিন্দু শাসন প্রতিষ্ঠা হলো, পরে আবার তুর্কি বা মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠা হলো, তখন অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের একটা বড়ো অংশ ছিলো বৌদ্ধ সহজিয়া সাধক। পালিয়ে তারা নেপাল, ভূটান, সিকিম, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এরকম নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়লেন। এদেরই কেউ বা কোনো দল হয়তো এই চর্যা বা গানগুলো নিয়ে গিয়েছিলেন নেপালে। তো কোনো ভাবে চর্যাটা ওখানে গেছে এবং সেটা কোনো এক সময়ে নেপালের রাজদরবারে ঠাঁই পেয়েছিলো। পরে নেপালের রাজদরবারের সব পুঁথি ওরা ওদের যে ন্যাশনাল আর্কাইভ, সেখানে নিয়ে গিয়েছিলো। আমি সেই আর্কাইভে গিয়েছিলাম, আমাদের সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শনটিকে একটু দেখতে, ছুঁয়ে দেখতে, পড়ে দেখতে! সুদীর্ঘ দু’দিন চেষ্টা করেও সেই পুঁথিটার কোনো সন্ধান পাওয়া গেলো না! পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, আমার আগেও দু’একজন চেষ্টা করেছিলো, আমার পরেও আমি শুনেছি দু’একজন গিয়েছিলো, তারা কেউ পুঁথিটার সন্ধান পাননি; হতে পারে পুঁথিটা এমন কোথাও আছে যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তেমন হলেই ভালো, অথবা পুঁথিটা নষ্ট হয়ে গেছে।
তবে এই পুঁথির সাধনা যারা করেন, তাদেরকে যে সহজিয়া বলা হতো, সে তো আগেই বলেছি। এখন সেই বৌদ্ধ সহজিয়াদেরই একটি ধারা আছে, বজ্রযানী। আর এই বজ্রযানী ধারার পণ্ডিতদের বলা হয় বজ্রাচার্য। তারা যখন ঐ বজ্রসাধনা করেন, তখন চর্যাপদের গানগুলো বা চর্যাগুলোর মতো এক ধরনের গান সেখানে অনেকটা মন্ত্রের মতো ব্যবহার করেন। আবার যখন তারা বজ্রনৃত্য করেন, নৃত্যের অনুষঙ্গ হিসেবেও এইরকম গান ব্যবহার করেন। অবশ্য তারা জানেনই না যে, প্রাচীন বাংলা বা পূর্ব ভারতীয় ভাষার সাথে তাদের এক রকম সম্পর্ক আছে। এই বজ্রাচার্যরা মোটামুটিভাবে সকলেই নেওয়ার। মনে করা হয়, এরা পূর্ব ভারত থেকে, মানে আমাদের এই দিক থেকে বিভিন্ন সময় নেওয়ার উপত্যকায় গিয়ে বসতি স্থাপন করেছেন। এদের থেকে নেপালিরা আবার খানিকটা ভিন্ন। এখন, বজ্রাচার্যরা তাদের মন্ত্র হিসেবে যেই গান করেন, তারপর নৃত্যের অনুষঙ্গ হিসেবে যেই গান করেন, এই গানগুলোর সাথে বাংলা ভাষার অনেক মিল আছে। এখন প্রশ্ন হলো, এই মিলটা আছে কেনো? আমার অনুমান, আমাদের যে পুরোনো চর্যাগানগুলো, সেগুলিই পরবর্তী সময়ে, ৮০০-১০০০ বছরে ভেঙ্গে ভেঙ্গে এই বজ্রগানগুলো তৈরি হয়েছে।
কিন্তু
সমস্যা হলো ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হলে আমাদেরকে আরো বেশি বেশি করে নেপালে
গিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। তাহলে হয়তো একদিন ঠিকই কেউ প্রমাণ করে দেবে, এই
বজ্রগানগুলোও আমাদের বাংলা ভাষারই সম্পদ। কেবল দূরে দূরে থাকার কারণে
বদলানোর সময় ঠিক আমাদের বাংলার মতো না হয়ে অন্য রকম হয়ে গেছে। অনেকটা
প্রবাসে বড়ো হওয়া সন্তানের মতোন।
আর তারচেয়েও বড়ো কথা, নেপাল তো আমাদেরই প্রতিবেশি। আর সে দেশের সভ্যতা সংস্কৃতিও কিন্তু আমাদেরই মত। হবে না, এক সময় যে আমাদের এখান থেকেও অনেকে গিয়ে ঐ দেশে বাসস্থাপন করেছে! সুতরাং, ওদেরকে না চিনলে, ওই দেশ না দেখলে আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতিকেও তো আমরা চিনতে পারবো না। ওরা কিন্তু আমাদের অনেক ঐতিহ্যই সংরক্ষণ করে। যেমন ধরেন, আমি ওখানকার এক পুরোনো পাণ্ডুলিপির দোকানে গিয়ে দেখি চণ্ডীমঙ্গলের অনেকগুলি পুঁথি তাদের কাছে আছে। আবার ‘স্বয়ম্ভূ’ বলে ওই দেশে একটা জায়গা আছে। সেই জায়গার বিশেষত্ব কি জানেন? সেখানে বসে মুনিদত্ত নামে এক পণ্ডিত চর্যাপদের কবিতাগুলোর টীকা লিখেছিলেন। আসলে চর্যাপদের কবিতাগুলো তো বৌদ্ধ সহজিয়াদেরই সাধন মন্ত্র ছিলো। পণ্ডিতরা এগুলো লিখতেন তাদের শিষ্যদের উদ্দেশ্যে। আর তাই এগুলো ছিলো অনেকটা ধাঁধার মতো; সাধারণভাবে পড়লে একটা অর্থ পাওয়া যেতো। কিন্তু আসল অর্থ অন্য রকম, ধাঁধার মতো লুকোনো থাকতো। মুনিদত্ত এই কবিতাগুলোর সেই লুকোনো অর্থগুলোই টীকা আকারে লিখে দিয়েছিলেন। আর যেখানে এগুলো লিখেছিলেন, সেই স্বয়ম্ভূতে এখন বজ্রাচার্যরা বাস করেন। আর আগেই তো বললাম, ধারণা করা হয়, তাদের অনেকেই আসলে আমাদের এই অঞ্চল থেকে, মানে পূর্ব ভারত থেকে ওখানে গিয়েছিলেন। আর ওখানে থাকতে থাকতে এখন পুরোদস্তুর নেওয়ারি হয়ে গেছেন। তাহলে ওখানে যে চর্যাপদের মতো আমাদের সাহিত্য সভ্যতার আরো কোনো উপকরণ নেই, তা কে বলতে পারে! আর বললামই তো, আমার মনে হয়েছে, ওদের এই বজ্রগানগুলোও সেই চর্যাপদের সময়েরই অন্য অন্য চর্যা গানের ভাঙা রূপ।
এই জন্যই বলছিলাম, অনেক দূরের দূরের দেশে ঘুরতে না গিয়ে আমাদের আশেপাশের অঞ্চলে ঘুরতে যাই, তাতে কিন্তু আখেরে আমাদেরই লাভ; আমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে যেমন জানতে পারবো, তেমনি আমাদের সাহিত্যের নতুন নতুন কত কিছু জানতে পারবো! আর আমাদের আশেপাশের এই দেশগুলোও কিন্তু কম সুন্দর না। আমাদের দেশেও যেমন অনেক জায়গা আছে, অনেক সুন্দর, কিন্তু আমরা জানি না বলে যেতে পারি না; আমাদের আশেপাশের দেশগুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু সেই সমস্যা নেই। হিমালয় পর্বতমালার কথা কি আপনারা জানেন না? সেখানকার পাহাড়গুলো কিন্তু সুইজারল্যান্ডের পাহাড় থেকে মোটেও কম সুন্দর নয়। তারপর আমাদের আরেক প্রতিবেশি দেশ ভূটান সেটাও কিন্তু অনেক সুন্দর; সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালয়েশিয়ার চেয়ে এই দেশটিও কম সুন্দর না। কেবল যাওয়া আসার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু সমস্যাই যদি না থাকে, তবে আর ভ্রমণের রোমাঞ্চ থাকলো কোথায়? অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য আর নতুনকে জানা এই তিনের সম্মিলন হলেই না সেটা একটা আদর্শ ভ্রমণ হবে, তাই না?
আর তারচেয়েও বড়ো কথা, নেপাল তো আমাদেরই প্রতিবেশি। আর সে দেশের সভ্যতা সংস্কৃতিও কিন্তু আমাদেরই মত। হবে না, এক সময় যে আমাদের এখান থেকেও অনেকে গিয়ে ঐ দেশে বাসস্থাপন করেছে! সুতরাং, ওদেরকে না চিনলে, ওই দেশ না দেখলে আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতিকেও তো আমরা চিনতে পারবো না। ওরা কিন্তু আমাদের অনেক ঐতিহ্যই সংরক্ষণ করে। যেমন ধরেন, আমি ওখানকার এক পুরোনো পাণ্ডুলিপির দোকানে গিয়ে দেখি চণ্ডীমঙ্গলের অনেকগুলি পুঁথি তাদের কাছে আছে। আবার ‘স্বয়ম্ভূ’ বলে ওই দেশে একটা জায়গা আছে। সেই জায়গার বিশেষত্ব কি জানেন? সেখানে বসে মুনিদত্ত নামে এক পণ্ডিত চর্যাপদের কবিতাগুলোর টীকা লিখেছিলেন। আসলে চর্যাপদের কবিতাগুলো তো বৌদ্ধ সহজিয়াদেরই সাধন মন্ত্র ছিলো। পণ্ডিতরা এগুলো লিখতেন তাদের শিষ্যদের উদ্দেশ্যে। আর তাই এগুলো ছিলো অনেকটা ধাঁধার মতো; সাধারণভাবে পড়লে একটা অর্থ পাওয়া যেতো। কিন্তু আসল অর্থ অন্য রকম, ধাঁধার মতো লুকোনো থাকতো। মুনিদত্ত এই কবিতাগুলোর সেই লুকোনো অর্থগুলোই টীকা আকারে লিখে দিয়েছিলেন। আর যেখানে এগুলো লিখেছিলেন, সেই স্বয়ম্ভূতে এখন বজ্রাচার্যরা বাস করেন। আর আগেই তো বললাম, ধারণা করা হয়, তাদের অনেকেই আসলে আমাদের এই অঞ্চল থেকে, মানে পূর্ব ভারত থেকে ওখানে গিয়েছিলেন। আর ওখানে থাকতে থাকতে এখন পুরোদস্তুর নেওয়ারি হয়ে গেছেন। তাহলে ওখানে যে চর্যাপদের মতো আমাদের সাহিত্য সভ্যতার আরো কোনো উপকরণ নেই, তা কে বলতে পারে! আর বললামই তো, আমার মনে হয়েছে, ওদের এই বজ্রগানগুলোও সেই চর্যাপদের সময়েরই অন্য অন্য চর্যা গানের ভাঙা রূপ।
এই জন্যই বলছিলাম, অনেক দূরের দূরের দেশে ঘুরতে না গিয়ে আমাদের আশেপাশের অঞ্চলে ঘুরতে যাই, তাতে কিন্তু আখেরে আমাদেরই লাভ; আমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে যেমন জানতে পারবো, তেমনি আমাদের সাহিত্যের নতুন নতুন কত কিছু জানতে পারবো! আর আমাদের আশেপাশের এই দেশগুলোও কিন্তু কম সুন্দর না। আমাদের দেশেও যেমন অনেক জায়গা আছে, অনেক সুন্দর, কিন্তু আমরা জানি না বলে যেতে পারি না; আমাদের আশেপাশের দেশগুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু সেই সমস্যা নেই। হিমালয় পর্বতমালার কথা কি আপনারা জানেন না? সেখানকার পাহাড়গুলো কিন্তু সুইজারল্যান্ডের পাহাড় থেকে মোটেও কম সুন্দর নয়। তারপর আমাদের আরেক প্রতিবেশি দেশ ভূটান সেটাও কিন্তু অনেক সুন্দর; সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালয়েশিয়ার চেয়ে এই দেশটিও কম সুন্দর না। কেবল যাওয়া আসার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু সমস্যাই যদি না থাকে, তবে আর ভ্রমণের রোমাঞ্চ থাকলো কোথায়? অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য আর নতুনকে জানা এই তিনের সম্মিলন হলেই না সেটা একটা আদর্শ ভ্রমণ হবে, তাই না?
লাল সমুদ্র সৈকত
অবিশ্বাস্য
কিন্তু সত্যি লাল রঙের সমুদ্র সৈকত, যা অবস্থিত প্যাঞ্জিন শহরে, আর এই শহর
চিনে অবস্থিত। চিনের উত্তর অঞ্চলে এই সমুদ্র সৈকত। এটা বিশ্বের সব থেকে বড়
এবং সংরক্ষিত নিম্নাঞ্চল যা কিনা সারা বছরই পানির নিচে থাকে। সম্পূর্ন
সৈকত আবৃত হয়ে আছে লাল রঙ্গের আগাছায় বা সমুদ্র ঘাসে। এখানে পাওয়া যায় কিছু
দূর্লভ ঘাস এবং কিছু প্রানী। যা বিশ্বের আর কোথাও দেখা মিলে না। এখানকার
অত্যাধিক লবনাক্ততা এবং মাটির মধ্যে অত্যাধিক ক্ষার থাকার কারন হিসেবে ধরা
হয় এখানকার ঘাস বা আগাছা গুলির এরূপ লাল রঙের কারন হিসেবে। ১০০ স্কয়ার কিমি
এলাকা জুড়ে আছে এই লাল রঙের আগাছা বা ঘাস যা কিনা এই সমুদ্র সৈকতকে দিয়েছে
এক অপরূপ সৈন্দর্য। এখানে উল্লেখ যোগ্য কিছু পাখি পাওয়া যায় যা সত্যিকার
অর্থে বিরল। যেমনঃ লাল মুকুট বক এবং Saunders' gulls এই দুটি পাখি। এটি
চায়নার অন্যতম ট্যুরিষ্ট স্পট। এখানে সেপ্টেম্বর মাসে সর্বাধিক ট্যুরিষ্ট
আসে কেননা এ সময় সব থেকে বেশী এলাকা জুড়ে থাকে এই লাল রঙ্গে রাঙ্গা ঘাস।
তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক এই লাল রঙ্গে ঘেরা পৃথিবীর একমাত্র সমুদ্র সৈকতের আরো কিছু ছবি,
রেটসহ Teletalk 3G মোবাইল Broadband Plan
Speed Up to
|
Usage
|
Amounts
|
Validity
|
Subscription Code
|
128kbps
|
10MB
|
Tk.8
|
1day
|
D7
|
2GB
|
Tk 350
|
30 days
|
D11
| |
UNL
|
Tk.650
|
30 days
|
D12
| |
256kbps
|
1GB
|
Tk. 175
|
10 days
|
D14
|
4GB
|
Tk. 600
|
30 days
|
D16
| |
UNL
|
Tk.1050
|
30days
|
D17
| |
512kbps
|
1GB
|
Tk.200
|
10 days
|
D19
|
2GB
|
Tk. 500
|
30days
|
D20
| |
10GB
|
Tk. 1000
|
30days
|
D22
| |
1mbps
|
4GB
|
Tk. 800
|
30days
|
D25
|
8GB
|
Tk. 1200
|
30days
|
D26
| |
2mbps
|
10GB
|
Tk. 2500
|
30 days
|
D27
|
* 15% VAT will be included
- To subscribe any 3G prepaid data plan, write ‘Subscription Code’ and send to 111. For example, to subscribe Monthly 2GB Data plan for 512kbps speed, write D20 & send to 111
- After depletion of data pack, pay per use policy will be applicable till subscriber subscribes any other data plan
- If any volume is not used during the validity period, it will expire and will not be carried over to the next month
- The default data speed is up to 512kbps and can be enhanced up to 2mbps as per data bundle pack
- For Unlimited package, fair policy will be applicable
Tuesday, 16 October 2012
Sunday, 14 October 2012
Monday, 1 October 2012
২৫ কোটি রুপি আয় করলো 'হিরোইন'

সিনেমাটি মুক্তির আগেই দর্শক এবং সমালোচকদের কৌতুহল সৃষ্টি করেছে। মুক্তি পাবার পরই সিনেমাটির গল্প এবং কারিনার সাবলীল অভিনয় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে সমালোচক এবং সাধারণ দর্শকদের। তার প্রমাণ হিসেবেই বক্স অফিস থেকে নিজেদের মূলধন ওঠাতে সক্ষম হলো সিনেমাটি।
সিনেমাটি নিয়ে বলিউডি ট্রেড অ্যানালিস্ট তরন আদর্শ টুইটারে লেখেন, ‘মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ‘হিরোইন’-এর নেট আয় ২৫ কোটি। মুক্তি পাবার পর ২১ সেপ্টেম্বর এর ঝুলিতে জমা হয় প্রায় সাড়ে সাত কোটি রুপি।’
২০ কোটি রুপি বাজেটের ‘হিরোইন’ সিনেমাটি ভাণ্ডারকারের সবচেয়ে বেশি আয়ের সিনেমা হবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। ‘ফ্যাশন’ এবং ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায়’-এর পর এটিই তার পরিচালিত অন্যতম হিট সিনেমা।
কখনো বিয়ে করবেন না মল্লিকা!
হলিউডি অভিনেতা অ্যান্টোনিও ব্যান্ডেরাসের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুললেও প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কখনো বিয়ে করবেন না বলে জানিয়েছেন বলিউডি অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত।
সংবাদ সংস্থাটিকে মল্লিকা বলেছেন, ‘আমি বিয়ের কথা ভাবছি না। এমন বলছি এজন্য যে, বিয়েকে প্রচীন ধারণা বা বিশ্বাসের বেশি কিছু ভাবিনা আমি। আমি একা থাকতেই পছন্দ করি। বিয়ে করে ভক্তদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নষ্ট করবো নাকি!’
এছাড়াও কর্মব্যস্ততার কথা জানিয়ে মল্লিকা আরো বলেছেন, ‘এমনকি কেমন পুরুষ আমার জন্য উপযুক্ত হবে, তাও ভাবিনি কখনো। বর্তমানে দেশ-বিদেশে অভিনয় ও ভ্রমণ নিয়ে বেশ উপভোগ্য এবং ব্যস্ত সময় কাটছে আমার।’
কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অ্যান্টোনিওর সঙ্গে পার্টিতে নাচ ও অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর কথা জিজ্ঞেস করা হলে মল্লিকা জানিয়েছেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই আমার। আমি ঠিক জানিনা, কেন এমন হচ্ছে। তাই কোনো মন্তব্য নেই আমার।’
কেমন হবে যদি আপনার সিম্বিয়ান ফোনটি কথা বলে!!!
এখন যে কাজ করবেন সেটাই বলবে আপনার মোবাইল !! আপনি যে বাটনে চাপবেন তাই বলে দিবে । এটা ব্যবহার করা খুবই সহজ । আপনি ইন্সটল করার পরই চালু হয়ে যাবে। যদি চালু না হয় তাহলে ফোন রিস্টার্ট করুন হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা একটাই সফ্টওয়ারটা ট্রায়াল । ফুল ভার্সন পাইনি যদি পাই তাহলে অবশ্যই শেয়ার করব। কেমন লাগে তা যাচাই করতে পারেন।
http://codefactory.es/en/downloads.asp?id=348#version_0_106
আমার ওয়েব সাইটঃ http://www.bdstore24.tk
এবার আপনার সিমবিয়ান ফোনে ব্যাবহৃত Opera mini এর internet spreed বাড়িয়ে নিন।
আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে আপনার সিমবিয়ান ফোনে ব্যাবহৃত অপেরা মিনির ইন্টারনেট স্প্রিড বাড়িয়ে নিবেন।

2.এবার Address বারে about:config টাইপ করুন।

3.Browse করুন।নিচের মত একটা পেজ আসবে।

4.Scroll করে নিচে আসুন।খেয়াল করুন আপনি Loading timeout নামে একটা অপশন পাবেন।এখানে ডিফল্ট ভাবে 30 দেওয়া আছে।এটা পরিবর্তন করে 3600 করে দিন।

5.এবার scroll করে একদম নিচে আসুন এবং Save বাটনে ক্লিক করে সেভ করে বেরিয়ে আসুন।
প্রথম কাজ শেষ-
1.এবারXplore ওপেন করুন।Xplore না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করুন।
2.এবার আপনি যে ড্রাইভে অপেরা মিনি install করেছেন,সেই ড্রাইভের system-apps-operamini ফোল্ডারে প্রবেশ করুন।এখানে আপনি reksio.ini নামে একটা ফাইল পাবেন।

3.এইটা আমাদের এডিট করতে হবে।8 কী প্রেস করুন।নিচের ছবিতে চিহ্নিত এই লেখাটুকু Cluster=1 খুজে বের করুন।

4.এবার Cluster=1 লেখাটুকু পরিবর্তন করে Cluster=0 করে দিন এবং ফাইলটি সেভ করে বেরিয়ে আসুন।
এবার অপেরা মিনি ওপেন করুন এবং browse করুন।দেখুন আগের থেকে ইন্টারনেট স্প্রিড অনেকটা বেড়ে গেছে।
যা যা করতে হবে:-
1.প্রথমে আপনার ফোনের অপেরা মিনি ওপেন করুন।

2.এবার Address বারে about:config টাইপ করুন।

3.Browse করুন।নিচের মত একটা পেজ আসবে।

4.Scroll করে নিচে আসুন।খেয়াল করুন আপনি Loading timeout নামে একটা অপশন পাবেন।এখানে ডিফল্ট ভাবে 30 দেওয়া আছে।এটা পরিবর্তন করে 3600 করে দিন।

5.এবার scroll করে একদম নিচে আসুন এবং Save বাটনে ক্লিক করে সেভ করে বেরিয়ে আসুন।
প্রথম কাজ শেষ-
1.এবারXplore ওপেন করুন।Xplore না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করুন।
2.এবার আপনি যে ড্রাইভে অপেরা মিনি install করেছেন,সেই ড্রাইভের system-apps-operamini ফোল্ডারে প্রবেশ করুন।এখানে আপনি reksio.ini নামে একটা ফাইল পাবেন।

3.এইটা আমাদের এডিট করতে হবে।8 কী প্রেস করুন।নিচের ছবিতে চিহ্নিত এই লেখাটুকু Cluster=1 খুজে বের করুন।

4.এবার Cluster=1 লেখাটুকু পরিবর্তন করে Cluster=0 করে দিন এবং ফাইলটি সেভ করে বেরিয়ে আসুন।
এবার অপেরা মিনি ওপেন করুন এবং browse করুন।দেখুন আগের থেকে ইন্টারনেট স্প্রিড অনেকটা বেড়ে গেছে।
Mobile Charge সম্পন্ন হলে Automatic মোবাইল কথা বলে জানিয়ে দিবে
উপরের শিরোনামটি শুনে অবাক
হচ্ছেন??
এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই ।
কারণ পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই
বললেই চলে।
তাই
আজকে আমি আপনাদেরকে একটা সুন্দর
সফটওয়্যার-এর সাথে পরিচয়
করিয়ে দেব। সফটওয়্যার একদম
বিনামূলের আর মজার ব্যাপারটা হল
এটিকে সাইন করার কোন
ঝামলা নেই।
এটি মুলত আপনাকে আপনার
ইলেকট্রিসিটির (বিদ্যুৎ) সাশ্রয়
করার জন্য তৈরী করা হয়েছে।
যখনি আপনার মোবাইলের চার্জ সম্পন্ন
হয়ে যাবে তখনই সফটওয়্যারটি আপনা-আপনিই একটা কন্ঠস্বরের
মাধ্যমে আপনাকে জাগিয়ে দেবে এবং
চার্জার আনপ্লাগ করতে বলবে। কি খুব
সুন্দর না??
তাহলে নিচে থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন । এই সফটওয়্যারটি নোকিয়ার s60v3 ও
s60v5 – এর সবগুলো মোবাইল ছাড়াও
নিম্নবর্ণিত সেটগুলোতে সাপোর্ট
করবেঃ
Nokia : 3250 XM, 5230, 5233,
5320 XM, 5500, 5530, 5700XM,
5800XM, 6110Nav, 6120c, 6120s,
6122c, 6210Nav, 6220Nav,
6650F, 6124, 6290, E50, E51, E60,
E61, E61i, E62, E63, E65, E66, E70,
E71, E90, N71, N73, N75, N76,
N77, N78, N79, N80, N81, N82,
N85, N86, N91, N92, N93, N93i,
N95, N96, N97, X6, X3, C6 ইত্যাদি।
Sumsung : I458, I450, I408, I400,
I520, I550, I558, I560, I586,
i7110, I8510, G818E, G810, L780,
L788, L878E, innov8
Sony Ericsson : G702, M608c, P1c,
P1i, P5i, P990, W950, W958c,
W960, G900
Motorola : Z8, Z10
So. why waiting?
এখুনী ডাউনলোড করুন ।
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এখানে ভিজিট করুন
গ্রামীন ব্যবহারকারীরা এখন আবারও ১৫ মেগা ফ্রি পাবে যে কোন গ্রামীন পি-পেইড থেকেই
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? সবাই আশা করি ভালই আছেন, আমিও আপনাদের দোয়ায়
এবং মহান আল্লাহ্’র অশেষ রহমতে অনেক ভালই আছি, আমি আগের মত আপনাদের সময়
দিতে পারি না, এখন একটু বেশি ব্যস্ত থাকি তারপরও যে খানে কাজ করি সেখানে
নেট খুব স্লো তাই সময় পেলেও নেট ব্যবহার করি না, তাই আপনাদের অনেক দিন কিছু
দিতে পারি নি, আজ বন্ধের দিন বাসায় আছি, তাই আমার বাসায় নেট এর গতি ভাল
পাই তাই এখন একটু বসলাম ভাবলাম কি নিয়ে লেখা যায় তাই, সকালে নেট কানেক্ট
করতে গিয়ে দেখি আমার আনলিমিটেড বন্ধ হয়েগেছে মেয়াদ শেষ, তাই গ্রামীন এর এর
১৫ এমবি এনে আপনাদের সেই ১৫এম.বি এর অফারটির বিষয়েই আপনাদের সাথে শেয়ার
করব। তাহলে প্রথমে আপনাকে একটি গ্রামীন প্রিপেইড সিম ওপেন করুন এবং দেখুন
আপনার সিমের মেয়াদ আছে কিনা? আসলে মেয়াদ এর কথা বললাম এই জন্য আমি সকালে
প্রথমে একটি সিম ওপেন করি এবং ওপেন করে মেসেজ সেন্ট করি কিন্তু সেন্ট হয়
না, তারপর ভাবলাম এই অফারটি মনে হয় শেষ, কিন্তু ব্যলেন্স চেক করে দেখি
মেয়াদ আরো তিন মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে, তাই অন্য আর একটি সিম ওপেন করে
১৫এম.বি নিলাম। তাহলে আপনি সিমটি দেখুন মেয়াদ আছে কিনা যদি না থাকে তাহলে
রিচার্জ করুন এবং রিচার্জ করে (ভয় নেই টাকা কাটবে না) মেসেজ অপশনে গিয়ে
লিখুন IGENP7 লিখে সেন্ট করুন 9999 নাম্বারে তারপর একটি মেসেজ আসবে
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন কনফার্ম মেসেজ না আসা পর্যন্ত, সেই মেসেজটি আসলেই
আপনি পেয়ে যাবেন ১৫ এম.বি তাহলে টোটালে আপনার দুইটি মেসেজ আসবে। এম.বি
আসলকি তা এবং কতটুকু ব্যবহার করেছেন তা যানতে ডায়েল করবেন *566*10# এই
নাম্বারে ডায়েল করলেই আপনার ব্যলেন্স জানতে পারবেন। তাহলে আজ এই পর্যন্তই
ভাল থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
ফেসবুক এ আপনার বন্ধুর আইপি জানতে চান
আপনি কি ফেসবুক এ আপনার বন্ধুর বা অপরিচিত কারো অবস্থান যানতে চান।তাহলে এটি আপনার যন্ন।আগে বলে রাখি বের করা আইপি দিয়ে কেউ হ্যাকিং করলে বা করার চেষ্টা করলে নিয responsibility তে করবেন।এতে techtunes বা এই টিউন দায়ী থাকবে না। তাহলে শুরু করি
১।প্রথমে সব ট্যাব বন্ধ করুন ও কুকি ডিলিট করুন
২।ফেসবুক এ ঢুঁকে কাঙ্খিত বেক্তিকে chat এ আমন্ত্রন যানান
৩।chat করার সময় start > Run > cmd লিখে enter চাপুন
৪।commane prompet এ netstat -an লিখে এন্টার দিন।
৫।এখন আপনি আপনার পিসি এর সাথে যুক্ত সব আইপি পেয়ে যাবেন।
৬।এখন আপনার কাঙ্খিত বেক্তির আইপি সনাক্ত করতে সবগুলো আইপি
www.ipmango.com ,www.ip2location,www.whatsmyip.com এসকল সাইট এ paste করুন আর দেখুন মযা।এগুল ছারা ও আপনি ইন্টারনেট অনেক সাইট পাবেন
শেষ কথা ঃ ইয়াহু তে চ্যাট করার সময় ও আপনি এটি করতে পারেন ও ভিক্টিম এর পিসি থেকে data হাতিয়ে নিতে পারেন ।কিন্তু এটি বলছি না কারন অনেক tuner এ নিয়ে আগে পোস্ট করেছেন।তাহলে খোদা হাফেয
মহাকাশের প্রাণহীন বাসিন্দারা ও সৃষ্টির বৈচিত্র্য
গ্রহাণুঃ
গ্রহাণুগ্রহাণু মূলত সূর্যের চারপাশে ঘুর্ণনরত পাথরখন্ড বা লৌহখন্ড। মঙ্গল ও বৃহস্পতির আবর্তন পথের মাঝামাঝি ডোনাটের মত একটি এলাকায় এদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন বৃহস্পতি গ্রহের দুর্বার আকর্ষনে গ্রহাণুগুলো নিজেরা মিলিত হয়ে আরেকটি গ্রহে পরিণত হতে পারে নি। সবচেয়ে বড় গ্রহাণুটির আকার প্রায় ৯৪০ কিলোমিটার হিসেব করা হয়েছে।
পৃথিবী থেকে ২৮ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থানকারী গ্রহাণুগুলোই মূলত বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত। এরা অনেক সময় পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। ফলে অনেক সময় সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেক কম্পিউটার প্রোগ্রাম এদের চিহ্নিতকরন ও সতর্ককরনের কাজে নিয়োজিত।
অরোরাঃ
অরোরা
অরোরা হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিন মেরুতে দেখা যাওয়া রঙিন আলোর প্রদর্শনী। আমেরিকার আলাস্কায় ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অরোরা দেখা যায়। বছরে প্রায় ২৫ বার এদের দেখা যায় সেখানে। অরোরা সাধারনত সাদা বা সবুজাভ হয় তবে হলুদাভ বা লালচে আভাও নিতে পারে। সূর্যের কালো রেখা(ফ্রণহফার) থেকে আসা চার্জিত কণা ও সোলার ফ্লেয়ার(flair) যখন ভূ-পৃষ্ঠের উপরের স্তরের হাল্কা গ্যাসকে উত্তেজিত করে, তখন অরোরা দেখা যায়। আসলে গ্যাসগুলো অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন।
এদের সাথে যখন চার্জিত কণার সংঘর্ষ হয় এরা ইলেক্ট্রন ছাড়ে আয়নে পরিণত হয়,এই ইলেক্ট্রন যাবার সময় রেডিয়েশন ছাড়ে। এটিই অরোরা হিসাবে আমরা দেখি। সাধারনত শীতকালে অরোরা কম দেখা যায়। এখন প্রশ্ন হল, কেন শুধু মেরু অঞ্চলেই এটা দেখা যায়? পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র সূর্যের কালো রেখা থেকে আসা চার্জিত কণাকে বিচ্যুত করে মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দুই মেরুতে নিয়ে আসে।
ব্ল্যাক হোলঃ
ব্ল্যাক হোল
মহাবিশ্বের সবচাইতে রহস্যময় বস্তু হল ব্ল্যাক হোল।
মহাবিশ্বের কিছু স্থান আছে যা এমন শক্তিশালী মহাকর্ষ বল তৈরি করে যে এটি তার কাছাকাছি চলে আসা যেকোন বস্তুকে একেবারে টেনে নিয়ে যায়, হোক তা কোন গ্রহ, ধুমকেতু বা স্পেসক্রাফট, তাই ব্ল্যাক হোল। পদার্থবিজ্ঞানী জন হুইলার এর নাম দেন ব্ল্যাক হোল। কেন? কারন ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষ বল এতই বেশি যে এর আকর্ষন থেকে এমনকি আলোও(ফোটন) বের হয়ে আসতে পারে না। ১৯১৬ সালে আইনস্টাইন তার জেনারেল রিলেটিভিটি তত্ত দিয়ে ধারনা করেন ব্ল্যাক হোল থাকা সম্ভব।
আর মাত্র ১৯৯৪ সালে এসে নভোচারিরা প্রমাণ করেন আসলেই ব্ল্যাক হোল আছে। এটি কোন সাইন্স ফিকশন নয়। জার্মান বিজ্ঞানী কার্ল শোয়ার্জস্কাইল্ড ১৯১৬ সালেই দেখান যেকোন তারকা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে পারে। সূর্যের ব্যাসার্ধ (৮৬৪,৯৫০মাইল) যদি কমতে কমতে সঙ্কুচিত হয়ে ১.৯ মাইলে পরিণত হয় তাহলে সূর্যও ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। তিনি ঘটনা দিগন্তের ব্যাসার্ধ মাপতে সক্ষম হন। ঘটনা দিগন্ত হল কোন এলাকা ব্যাপী ব্ল্যাক হোলের প্রভাব থাকবে সেই এলাকার ব্যাসার্ধ। বিজ্ঞানীরা প্রথম Cygnus X-1 নামক তারকারাজি থেকে মাত্রাতিরিক্ত এক্সরে রেডিয়েশন বেরুচ্ছে খেয়াল করেন। ১৯৭১ সালে বিশ্বের প্রথম এক্সরে স্যাটেলাইট এই এক্সরে রেডিয়েশনের মূল সূত্র বের করে হতবাক হয়ে দেখেন এটা একটা অতি বৃহৎ কিন্তু অদৃশ্য বস্তু থেকে আসছে।
ব্ল্যাক হোলের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে এর চারপাশে যখন আকর্ষিত গ্যালাক্সি এসে পড়ে তখন এটি গ্যালাক্সি বা যেকোন মহাজাগতিক বস্তুকে স্পাইরাল একটা ওয়ে(WAY) তে শুষে নিতে থাকে। এটা অনেকটা এমন যে একটা টেবিলের মাঝখানে ফুটো করে সেই ফুটোটা যদি টেবিলের লেভেল থেকে একটু নিচে থাকে তাহলে একটা বল টেবিলে ছেড়ে দিলে তা ঘুরতে ঘুরতে সেই ফুটোতে পতিত হবে একসময়।

ব্ল্যাক হোল একটা গ্যালাক্সিকে শুষে নিচ্ছে
ধুমকেতুঃ
ধুমকেতু হল ছোট গ্রহাণু যেগুলো সূর্যের কাছাকাছি এলে ধোঁয়াশা মেঘ ধুলির সৃষ্টি করে। এরা অনেকসময় লম্বা উজ্জ্বল লেজের সৃষ্টি করে। সূর্যের কাছ দিয়ে যাবার সময় টেলিস্কোপের মাধ্যমে এদের দেখা যায়। তবে ১৯১০ সালে The great comet কে পৃথিবী থেকেই দেখা যায়। সেকি লাইন, ইকইয়া সেকি, এরেন্ড রোল্যান্ড, ওয়েস্ট, হায়াকু টাকে, হেইল বুপ, হ্যালির ধুমকেতু, স্কেজেলারাপ-মারিস্টানি ইত্যাদি কয়েকটি ধুমকেতু।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন ধুমকেতু ইটের ব্লকের মত কাজ করে করে ৪.৬ বিলিওন বছর আগে ইউরেনাস ও নেপচুনকে তৈরি করেছে। ধুমকেতু যখন সুর্যের থেকে দূরে থাকে এতে কোন পরিবর্তন হয়না। এর মানে বুঝতে পারছেন? এর মানে বিজ্ঞানীরাও বলেছেন; যে ধুমকেতুতে অনেক প্রাচীনকালের যৌগ, মৌল ও অনেক অনাবিষ্কৃত রহস্য অপেক্ষা করছে।
তারকাপুঞ্জ বা কন্সটেলেশনঃ
কন্সটেলেশন হল মহাকাশের অন্যতম আরেকটি রহস্য। খেয়াল করেছেন কি রাতের তারাভরা আকাশে তারাগুলোতে ইচ্ছে করলেই খুজে বের করা যায় এক প্রকান্ড হাতি, কিংবা প্রাচীন কোন গ্রীক বীর, বা কোন সিংহের মুখ? এভাবেই এসব থেকেই সম্ভবত প্রাচীন গ্রীক মিথগুলো এসেছে। তারা মনে করত আকাশে থাকেন জিউস,এপোলো,হেইডিস,হারকিউলিস ইত্যাদি ইত্যাদি দেবতারা। প্রাচীন গ্রীক মনিষী টলেমি আকাশে ৪৮টি কন্সটেলেশন খুজে পেয়েছিলেন। বর্তমানে ৮৮টি পাওয়া গেছে। কিছু কন্সটেলেশন উত্তর গোলার্ধ ও কিছু শুধু দক্ষিন গোলার্ধ থেকে দেখা যায়। কিন্তু রাশিচক্রের কন্সটেলেশন দুই মেরু থেকেই দেখা যায়।
কন্সটেলেশন কিন্তু বিজ্ঞানীদের কাছেও চমকপ্রদ। কিন্তু তাদের কাছে মিথ নয়, নতুন তারা পাবার সোপান হিসেবেই এরা গুরুত্বপূর্ণ।
উবুন্টু/লিনাক্স মিন্টের সফটওয়্যার সেন্টার থেকে স্টেলারিয়াম সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে চালিয়ে দেখুন। মহাকাশের সবকিছুর ত্রিমাত্রিক জগত দেয়া আছে। আর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আকাশ কেমন দেখায় তাও দেখতে পারেন। আর হতবাক হয়ে যাবেন কন্সটেলেশ
Subscribe to:
Posts (Atom)