paponblog

Monday, 9 May 2016

ইউটিউব থেকে আয় করুন সহজ কিছু ভিডিও তৈরি করে

আপনি যদি একজন ইন্টারনেট আসক্ত মানুষ হয়ে থাকেন তবে আপনার দিনের অনেকটা সময়ই যে ইউটিউবে কাটে সেটা আন্দাজ করে নেয়া খুব একটা কঠিন কিছু নয়। এখন আপনি ভাবুন, এই ইউটিউবে শুধু অন্যের ভিডিও ব্রাউজ না করে যদি আপনি নিজেই একটি চ্যানেল তৈরি করে আপনার করা নতুন কোন ভিডিও আপলোড করতেন তাহলে একটা সময় গিয়ে এই ইউটিউব থেকেই আপনি চমৎকার একটা অ্যামাউন্ট ইনকাম করতে পারতেন যে অ্যামাউন্টটা হয়তো অনেকে চাকুরী করেও মাসের শেষে হাতে পায় না!
অনেকের মাথায়ই হয়তো এরকম চিন্তা আগে এসেছে কিন্তু তখন তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি যে কি রকমের বা কোন ক্যাটাগরির ভিডিও নির্মান করে ইউটিউবে আপলোড করলে সেখান থেকে আয় করা সম্ভব হবে, এবং এরপরেই হয়তো তারা পিছিয়ে গিয়েছেন। তাই আমি আজ আপনাদের জন্য – যারা আগে ভেবেছেন কিন্তু বুঝে উঠতে পারেননি এবং যারা কখনো ভাবেননি, মোটকথা সবার জন্যেই কিছু সহজ ক্যাটাগরির ভিডিও নির্মান করার পদ্ধতি শেয়ার করবো যার ফলে মোটামুটি কম শ্রমেই আপনিও হয়তোবা হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ইউটিউবার। চলুন তাহলে, কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দেয়া যাক।

আনবক্সিং ভিডিও

হয়তোবা ইউটিউবে যে ভিডিওগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে সবচাইতে কম শ্রম খরচ করে এই ক্যাটাগরির ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। মজার বিষয় হচ্ছে, এই ক্যাটাগরির ভিডিওগুলো তৈরিতে কম শ্রম খরচ হলেও এই ধরণের ভিডিওগুলো কিন্তু ইউটিউবে দারুণ জনপ্রিয়।
আনবক্সিং ভিডিও বলতে কি বোঝায় তা নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে? তবুও যারা জানেন না তাদের জন্য সংক্ষেপে লিখছি। ধরুন, একটি প্রোডাক্ট আপনার কাছে আছে বক্স সহ। সেটা হতে পারে স্মার্টফোন, ট্যাব, টেলিভিশন, ল্যাপটপ বা এরকম যে কোন কিছু। এখন, আপনাকে যা করতে হবে সেটা হচ্ছে যে কোন একটি প্রোডাক্ট (অবশ্যই যা আপনার কাছে আছে) বক্স থেকে বের করতে হবে তথা আনবক্স করতে হবে। প্রোডাক্টটির সাথে অন্যান্য কি কি এক্সেসরিজ আছে সেগুলোও আপনাকে প্রদর্শন করতে হবে। এমনভাবে আপনাকে পুরো বিষয়টা উপস্থাপন করতে হবে যেন যদি কেউ সেই প্রোডাক্টটি কিনতে চায় এবং বক্সের ভিতরে কি কি রয়েছে তা জানতে চায় তাহলে যেন সহজেই আপনার তৈরি করা ভিডিও থেকে সে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো বুঝে নিতে পারে।
এই ক্যাটাগরির ভিডিও নির্মানের জন্য শ্রম কম খরচ হয় এজন্যেই বলছি কেননা আপনাকে এর জন্য শুধু যে প্রোডাক্টটির আনবক্সিং করবেন তা লাগবে আর একটি ক্যামেরা লাগবে যার মাধ্যমে আপনি ভিডিও ধারণ করবেন। ব্যাস!

প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও

আনবক্সিং ভিডিওর সাথেই মূলত প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও সম্পর্কিত। কেননা, আপনি যে প্রোডাক্টটি আনবক্স করে দেখালেন সেটাই আপনি বিস্তারিত রিভিউ করার সময় সমগ্র বিষয়টি ভিডিওতে ধারণ করলেই সেটা প্রোডাক্ট রিভিউ হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছুটা সময় সেই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করে এর খুঁটিনাটি তথ্য জানতে হবে কেননা আপনার রিভিউ এর উপর ভরসা রেখেই কোন একজন সেই প্রোডাক্টটি কিনতে পারে।

গেমপ্লে ভিডিও

এটা আরও মজার একটি ক্যাটাগরি! ধরুন, আপনি যদি একজন গেম পাগল মানুষ হয়ে থাকেন তবে নিশ্চয়ই বাজারে নতুন গেম এলেই সেটা আপনার খেলা হয়ে যায়? কিন্তু সাধারণ যারা আছেন বা যারা সহজ কথায় ততটা গেম পাগল নন তারা কিন্তু বেশ ভেবে চিন্তেই গেম খেলে থাকেন। তো, ধরুন আপনি নতুন নতুন গেম খেলার সময় শুধু স্ক্রিন রেকর্ড বা গেমপ্লে রেকর্ড করলেই সেটা গেমপ্লে ভিডিও হয়ে যাবে যাকে অনেকেই ভিডিও গেম ওয়ালথ্রু-ও বলে থাকেন। ভাবছেন, এটা করলে কি লাভ? ঐ যে, একটু আগে বললাম সাধারণ গেমার দের কথা! তাই ৫০গিগাবাইটের একটি গেম কেনা বা ডাউনলোডের আগে অনেকেই এই গেমপ্লের ভিডিওগুলো দেখে থাকেন এবং গেমপ্লে পছন্দ হলেই মূলত কিনে থাকেন বা ডাউনলোড করে থাকেন সেই গেমগুলো। আর এভাবেই আপনার করা ভিডিও গেম ওয়াকথ্রুগুলো অন্যের কাজে আসবে আর সাথে আপনিও কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।

টিউটোরিয়াল

আমরা যে টিউটোরিয়ালগুলো প্রিয়তে লিখে থাকি বা অন্যান্য সাইটেও আপনারা পড়ে থাকেন সেগুলোও কিন্তু ভিডিও আকারে ইউটিউবে আপলোড হতে পারে। ধরুন, আমি একদিন লিখেছিলাম উইন্ডোজের কমান্ড লাইনের কিছু ব্যবহার। এই একই বিষয়টি কিন্তু আমি কম্পিউটারে করার সময় স্ক্রিন রেকর্ডের মাধ্যমে একটি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড দিতে পারতাম। বিশ্বাস না হলে ইউটিউবে গিয়ে দেখুন, এরকম হাজার হাজার হাও টু/টিউটোরিয়াল ভিডিও পাবেন। এটা যে কোন ধরণের হতে পারে। উইন্ডোজ থেকে শুরু করে সাইকেলের লিক হয়ে যাওয়া টিউব ঠিক করা পর্যন্ত, যে কোন কিছু।

ফ্যান ভিডিও এবং মুভি রিভিউ

ধরলাম আপনার কাছে কোন প্রোডাক্ট নেই, আর আপনি কোন গেমও খেলেন না! তাহলে? মুভিতো দেখেন? তাহলে একটি মুভি দেখে সেই মুভিটির সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়াই ভিডিওতে ধারণ করে ছেড়ে দিন! বিশ্বাস করুন, ইউটিউবে এই ক্যাটাগরির ভিডিও অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কারণটাও সহজ! ধরুন, ডেডপুল যখন নতুন নতুন মুক্তি পেল তখনই আপনি প্রেক্ষাগৃহে বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রথম দিনই মুভিটি দেখে নিলেন। এরপর বাসায় এসে আপনার মুভিটি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া (খারাপ এবং ভালো, যাই হোক) ভিডিওতে ধারণ করে ছেড়ে দিলেন। ব্যাস! আপনার কাজ হয়ে গেল! মানুষ একটি মুভি দেখার আগে, বিশেষ করে যে মুভিগুলো নিয়ে অনেক গুজব বা উন্মাদনা সৃষ্টি হয়ে থাকে সেগুলোর রিভিউ মানুষ দেখে নিতে পছন্দ করে, আর এভাবেই এই ক্যাটাগরির ভিডিওগুলো কাজে আসে।
»» read more

ওয়াইফাই স্পিড বাড়াবেন কিভাবে জেনে নিন

যারা ওয়াই-ফাইয়ে কাজ করেন তারা অনেক সময় গতি নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগেন। আজ ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়াবেন কিভাবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এই বিষটি নিয়ে টেকডক্টর এ আগে পোস্ট করা হলেও আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ন আলাদা ও ব্যতিক্রম ধর্মী ।
আমরা অনেকেই ইন্টারনেটের ধীর গতি নিয়ে বিরক্ত বোধ করি। ওয়াই-ফাই সংযোগে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলেও অনেক সময় দেখা যায় সংযোগ রয়েছে কিন্তু গতি একেবারেই নেই। অর্থাৎ ইন্টারনেট স্পিড নেই। তবে এই সমস্যা হতে খুব সহজেই মুক্তি মিলতে পারে! তাহলে আসুন জেনে নিই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর কয়েকটি সহজ পথ।
রাউটারের লোকেশন পরিবর্তন করুণ
ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি বাড়াতে হলে প্রথমেই আপনাকে রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন বা অবস্থানের মাঝে সমন্বয় রক্ষা করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাউটার বাড়ির ভিতরে আসা ইন্টারনেট তারের খুব কাছাকাছি রাখা হয়ে থাকে। এটা মোটেও উচিত নয়। আবার অনেক সময় রাউটারের অ্যান্টেনার অবস্থান ঠিক করে রাখা হয় না। যে কারণে অ্যান্টেনার থেকে সব দিকে সংকেত পাঠানো এবং রিসিভ করা সম্ভব হয় না। সে কারণে রাউটারকে এমন স্থানে রাখা উচিত, যাতে রাউটারটি সবদিকে সংকেত পাঠাতে পারে অথবা সংকেত রিসিভ করতে পারে।
ওয়্যারলেস রাউটারে উন্নত অ্যান্টেনা যোগ করা
অনেক সময় রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করেও ইন্টারনেটের গতি উন্নত বা বাড়ানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টেনা পরিবর্তন করতে পারেন। রাউটারের চারপাশে যদি অনেক দেওয়াল বা অনেক বাধা থাকে তবে সেক্ষেত্রে একটি এক্সটারনাল অ্যান্টেনা রাউটারের সামনে বা সঠিকভাবে ব্যবহার করে রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। কারণ রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়লে ইন্টারনেটের স্পিডও বাড়বে।
ওয়্যারলেস রিপিটার যোগ করুণ
আপনি ইচ্ছে করলে রাউটারে নেটওয়ার্কের পরিসীমা বাড়ানোর জন্য একটি ওয়্যারলেস রিপিটারের সাহায্য নিতে পারেন। এই রিপিটার রাউটার এবং সংযুক্ত ডিভাইসের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করবে। কম দামে বাজারে এমন অনেক ভালো ভালো রিপিটার পেয়ে যাবেন।
ব্যাকগ্রাউন্ডের ডেটা ডাউনলোড বন্ধ করা
অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা একাধিক কাজের জন্য ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গতি স্লো হতে পারে। ব্যবহারকারী কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি একাধিক ট্যাব একইসঙ্গে চলতে থাকে তবে ইন্টারনেটের গতি এমনিতেই কমে যাবে। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে হলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বা ট্যাব বন্ধ করতে হবে। তাহলে দেখবেন ইন্টারনেটের স্পিড আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাছাড়াও অনেক সময় ইন্টারনেটের গতি কমে গেলে রাউটারটি রিস্টার্ট দিয়ে নিলেও কাজ হয়। রাউটারটি রিস্টার্ট দিলে আবার গতি স্বাভাবিকভাবে কাজ করে।
»» read more

ফ্রিলান্সার দের যে ১০টি অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত

একজন অনলাইন ফ্রিলান্সার হিসেবে আপনি যাই কিছু করেন না কেন, এটাকে বর্তমানে একই সাথে সবথেকে স্বাধীন এবং সবথেকে সম্মানজনক পেশা হিসেবে গণ্য করা হয়। ফ্রিলান্সার দের মাধ্যমে যে ধরনের কাজ করানো হয় তাতে সাধারনত ফ্রিলান্সার এবং ক্লায়েন্ট ২ জনেই লাভবান হন। যাক, আমার আজকের আলোচনার বিষয় এটা নয়। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এমন সব অভ্যাস যেগুলো একজন ফ্রিলান্সার -এর মাঝে থাকা উচিত। এই অভ্যাসগুলো না থাকার ফলে বিশেষত ৩য় বিশ্বের লোকজন ফ্রিলান্সার হিসেবে শুরু করে এবং অচিরেই পরাজিত হয় এবং তাদের আগের পেশা বেকারত্বে ফিরে আসে। চলুন দেখে নেই এই ১০ টি আলোচ্য অভ্যাস কি কি।

নিজেকে প্রচার করুন

আপনি যখন শুরু করলেন তখন আপনাকে কেউ চিনে না। আপনি আপনার পরিচিতি আপনার পাবলিক প্রোফাইলগুলোতে এমন কি আপনার ঘরের দরজায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু এটা মনে করলে চলবে না যে অচিরেই কেউ আপনার দরজায় এসে কড়া নাড়বে। বরং, আপনাকে প্রতিনিয়ত নিজের প্রচার করতে হবে। এটা এমন একটা বিষয় যা বেশিরভাগ মানুষের জন্য বিরক্তিকর। কিন্তু এটাই হচ্ছে টিকে থাকার এবং এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম উপায়। এইজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল- বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ এবং অন্যান্য কমিউনিটিতে যুক্ত হন, এমন ইভেন্টে যান যেখানে আপনি আপনার উপযুক্ত ক্লায়েন্ট পাবেন, এরকম আরও অনেক কিছু।

প্রতিদিন লিখুন/ ডিজাইন করুন

আমি CPA Elite ফোরামে কোন এক গ্রাফিক ডিজাইনারের সাথে পরিচিত। সে CPA Elite এ যুক্ত হওয়ার কিছুদিন পর এই ফোরামে তার পরিচিত সবাইকে অফার করেছে যে যার যার প্রয়োজন সে তাকে তাকে একটা করে ফ্রিতে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির লোগো ডিজাইন করে দিবে। যেই কথা সেই কাজ। আমার এক বড় ভাইও একটা কাজ করিয়ে ছিলেন। এবং আমি দেখলাম কাজটার মান যথেষ্ট ভালো। ভাবুন তো যাদের সে ফ্রি কাজ করে দিয়েছিল তাদের কখনো লোগো ডিজাইনার হায়ার করার দরকার হলে তার কথা কি একবার ভাববে না? সুতরাং বুজতেই পারছেন, আপনার হাতে কাজ না থাকলেও আপনি কাজ করুন। নিজের জন্য হলেও করুন । আর সবথেকে ভালো হয় তার মত কারো কারো ফ্রি কাজ করে দিন। এতে আপনার প্রচারের কাজও হয়ে যাবে।

সবসময় উপাস্থাপনা সুন্দর এবং স্বচ্ছ করুন

এই বিষয়টা সব ক্ষেত্রেই থাকা উচিত। ধরুন আপনার অফিসের বস আপনাকে একটা আনঅফিসিয়াল কাজ দিয়েছে। আপনি হয়তো ভাবছেন এটা আর গুছিয়ে করার কি আছে। কাজটা করে দিলেই তো  হল। তাই আপনি একটা ওয়ার্ড ফাইলে এলোমেলোভাবে কাজ করে দিয়ে দিলেন, কোন ফরমেটিং করলেন না, কোন মার্জিন দিলেন না। এইক্ষেত্রে আপনি হয়তো অনেক পরিশ্রম করে ভালোভাবেই কাজটা করেছিলেন। কিন্তু আপনার উপস্থাপনা থেকে মনে হবে আপনি কাজটা দায় সারা করেছেন। তাই কখনো উপাস্থাপনায় পাঞ্জলতার কথা ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন যাই করেন না কেন কাজটি পচন্দ করার জন্য কেউ যখন প্রথম চোখ বুলায় তখন প্রথম বিবেচ্য বিষয়ই হচ্ছে এটার বাহ্যিক অবয়ব।

একাধিক আয়ের উৎস নির্ধারণ

যখন আপনি নতুন কেউ আপনাকে চেনে না। সেই সময় আপনার আর তাদের মাঝে থাকে একটা ফ্রিলান্স মার্কেটপ্লেস (odesk.com, freelancer.com, elance.com). এখন আপনি কিছুদিন পর odesk এ বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেলেন। কিন্তু ইতোমধ্যে আপনার চাহিদার পরিবর্তন হয়ে গেছে। আপনি এখন ভাবলেন যে ডিজাইন করে তা এনভাটো তে বিক্রি করবেন। একটা কাজ করবেন আর সারা মাস ঘুমাবেন। তাই ভেবে আপনি যদি odesk ছেড়ে দেন তাহলে তা হবে মস্ত বড় বোকামি। কারন একটার পর একটা ডিজাইন জমা দিয়ে ৬ মাসে যখন আপনার একটাও ডিজাইন টিকবে না ঐদিকে তখন odesk এও আপনার জনপ্রিয়তা শেষ। তাই অন্য কিছু ভেবে আগেরটাকে বাদ দেওয়া যাবে না। একটা হাতে রেখেই আরেকটাতে হাত দিবেন।

স্বাধীনতার অসৎ ব্যাবহার করবেন না

আমরা সবাই জানি যে ফ্রিলান্স স্বাধীন পেশা। কিন্তু সেই সাধিনতার এতোটা ব্যাবহার করবেন না যে যাতে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায়। অনেকে আছেন যারা আওয়ারলি কাজের টুল চালিয়ে রেখে দিব্বি ভাতও খেয়ে নেন। মনে রাখবেন চোরের দশ দিন আর গ্রেহস্থের একদিন। এটা নিশ্চিত থাকেন যে এইধরনের অভ্যাস শুধরে না নিলে অচিরেই আপনিও শেষ সাথে আপনার ক্যারিয়ারও শেষ।

নিয়মানুবর্তী হতেই হবে

প্রত্যেক স্বাধীন পেশায় এই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হয়। স্বাধীন পেশায়, কোন চাপ নেই তাই নিজের যখন যা খুশি তাই করে গেলে শেষে এসে দেখবেন কিছুই করা হয়ে উঠেনি। বিশেষ করে যারা কোন টেকনিক্যাল বা ক্রিয়েটিভ কাজ করেন তারা দৈনিক হাতে ধরে বেশ কিছুটা সময় নতুন জিনিস শিখবেন। নইলে স্রোতের সাথে থাকা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

সবসময় হাসিখুশি থাকুন

এই একটা বিষয় ফ্রিলান্সারদের কখনো বলতে হয় না। প্রায় সব ফ্রিলান্সাররাই ইতিবাচক এবং আশাবাদী হয়ে থাকেন। এবং চারপাশ সম্পর্কে তাদের অভিযোগ খুব কমই থাকে। আর তারা নিজের বেছে নেওয়া পেশাকে নিজের জন্য উপযুক্ত এবং মনের মত মনে করেন। তাই এই জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতিও তারা সবসময় কৃতজ্ঞ থাকেন। আর তাই জীবন সম্পর্কে যাদের অনেক অভিযোগ তাদেরকে বলে রাখি এটা ফ্রিলান্সারদের সাধারন অভ্যাসের মধ্যে অনুপস্থিত এবং তাদের এটা প্রয়োজনও হয় না। আপনার ক্লায়েন্ট, আশেপাশের মানুষ কার কাছ থেকে কি পাননি হিসাব বাদ দিন। যেহেতু আপনি ফ্রিলান্সার আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এই মহামূল্যবান রত্ন পেয়েছেন তার হিসাব করুন।

নিয়মিত প্রকৃতির কাছে যান

ফ্রিলান্সাররা সাধারনত বেশিরভাগ সময় বাসায় বা অফিসে কম্পিউটার নিয়েই থাকেন যাতে তাদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই প্রতিদিন কিছুটা সময় রুটিন করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন, কিংবা বাড়ির পাশের পার্কে গিয়ে পাখিদের ডাক শুনে আসুন। দেখবেন মনটা অনেক সতেজ থাকবে। তাতে কাজ করার সময় কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং কাজের মান ভালো হবে।

জীবন থেকে কিছু বিষয় সরিয়ে দিন

আপনি হয়তো আগে খেলা দেখতেন, কিংবা বন্ধুদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা মারতেন, কিংবা অনেক বেশি বই পড়তেন। এর কোনটাই খারাপ না। তবে আপনার দায়িত্ব এখন অনেক বেড়ে যাবে। তাই আপনি আগের মত সবদিকে সময় দিতে গেলে বোকামি করবেন। আমি বলছিনা যে একেবারে ছেড়ে দিবেন। তবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা কমিয়ে দিন, রাত জেগে বা সারা দিন বসে বসে টেস্ট ক্রিকেট দেখার কোন দরকার নেই। খুব বেশি ইচ্ছে হলে দু,একদিন দেখতে পারেন। তবে অভ্যাস করে দেখবেন না। এই ধরনের আরও অনেক ভালো বিষয় আছে যেগুলো থেকে সরে না আসলে আপনি প্রচুর কাজ করতে পারবেন না। তবে মাঝে মাঝে রুটিন বাদ দিয়ে চলাও খুব প্রয়োজনীয়।

যেকোনো কাজ সময় মত শেষ করুন

আগে হয়তো আপনি একদিনের কাজ তিনদিনে করতেন। কিন্তু ফ্রিলান্সার হিসেবে এই ধরনের ভাববেনও না। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতেই হবে। আজকের কাজ কালকের জন্য রেখে দিলে কালকের কাজ কখন করবেন? এর বাইরেও সময় বাঁচানোর চেষ্টা করুন। তবে কাজের কোয়ালিটি ঠিক রেখে।
»» read more
free counters
^ Back ToTop